দূর্নীতির বিরুদ্বে আপোষহীন নেতা আমাদের বদলগাছী উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব রুমী চৌধুরী

 

পিআইওর বিরুদ্ধে তিন লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

প্রথম আলো।
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি | আপডেট:



নওগাঁর বদলগাছির সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল করিমের বিরুদ্ধে এবার ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী আবদুস সালাম নামের এক ব্যক্তিকে অবৈধভাবে সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে পিআইও তিন লাখ টাকা ঘুষ নেন।
ঘুষ দিয়েও কাজ না পেয়ে ক্ষুব্ধ আবদুস সালাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ৬ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ করেন। পিআইও তাঁকে ১৪০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের বরাদ্দসম্পন্ন মাটি কাটার কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এর আগে চলতি অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ (সোলার প্যানেল) স্থাপন প্রকল্পে পিআইও আবদুল করিম নিজেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে বড় অঙ্কের একটি ব্যবসা করেন বলে জানা যায়। এ নিয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোয় ‘পিআইওর সোলার প্যানেল বাণিজ্য’ শিরোনামে সংবাদও প্রকাশিত হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পিআইও আবদুল করিম কাবিখা (বিশেষ) কর্মসূচির আওতায় বিলাসবাড়ী ইউনিয়নের চকনরসিন চৌরাস্তার মোড় থেকে তাজপুর তিনমাথা মোড় পর্যন্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ প্রকল্পের জন্য তিনি ১৪০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের চাহিদাপত্র বানান। এই পরিমাণ খাদ্যশস্যের বাজারদর প্রায় ২৫ লাখ টাকা। কাজটি পাইয়ে দিতে তাঁদের মধ্যে ছয় লাখ টাকার চুক্তি হয়। চাহিদাপত্রটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা বলে মার্চের শুরুর দিকেই পিআইও তাঁর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেন। কিন্তু এ পর্যন্ত আবদুস সালাম কাজটি পাননি। এ অবস্থায় টাকা উদ্ধারের জন্য চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে আবদুস সালাম অভিযোগ করেন।
জনপ্রতিনিধি না হয়েও আবদুস সালাম কীভাবে কাবিখার কাজ পাওয়ার আশা করেছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিআইও আবদুল করিমের সঙ্গে তাঁর বিশেষ সখ্য রয়েছে। ফেব্রুয়ারির দিকে তাঁর কাছে কাজ চাওয়ায় পিআইও জানান, মাটি কাটার কাজ খুব লাভজনক। তিনি ১৪০ মেট্রিক টনের এ রকম একটি প্রকল্প আবদুস সালামকে পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখান। কাজটি পেতে ধারদেনা করে পিআইওকে টাকাটা দিয়েছিলেন তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যান রুমী চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি না হয়েও যিনি কাবিখার প্রকল্প পাওয়ার লোভ করেন, তাঁকে আগে পিটুনি দেওয়া দরকার। তিনি পিআইওকে ঘুষ দিতে গেলেন কেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘পিআইও যে ঘুষ খান, এটা তো সবাই জানে। ভাগ্যিস প্রকল্পটি অনুমোদন হয়নি। অনুমোদন হলে তো এ প্রকল্পে কোনো কাজই হতো না।’
পিআইও আবদুল করিম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি আবদুস সালাম নামের কাউকে চিনিই না। তাঁর কাছ থেকে প্রকল্প অনুমোদনের নামে টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment