দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার আমাদের বদলগাছী উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব রুমী চৌধুরী

নওগাঁর বদলগাছীতে এল.জি.এস.পি’র প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।জানা যায় ২০১৪-২০১৫ ইং অর্থবছরে উপজেলার বদলগাছী ইউনিয়নে ১৯ টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৭,৭২,০০০/= টাকা , মথুরাপুর ইউনিয়নে ১৭ টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৪,৭৬,৭১৭/= টাকা, পাহাড়পুর ইউনিয়নে ১৬ টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৬,০৬,০০০/= টাকা ,মিঠাপুর ইউনিয়নে ২১ টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৫,৪৬,২৭৫/= টাকা,কোলা ইউনিয়নে ১৪ টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৪,৪৬,২০৪/= টাকা ,বিলাশবাড়ী ইউনিয়নে ১৫ টি প্রকল্পের বিপরীতে১৫,৮৭,৬০০/= টাকা ,আধাইপুর ইউনিয়নে ১৮ টি প্রকল্পের বিপরীতে১৬,৩০০০/= টাকা এবং বালুভরা ইউনিয়নে ১১ টি প্রকল্পের বিপরীতে ১২,৮০,০০০/= টাকা বরাদ্দ হয়। ৩০ জুনের মধ্যে কাজগুলো সমাপ্ত করার কথা থাকলেও কোন কাজ না করেই যোগসাজশ করে ইউ.পি. চেয়ারম্যানগণ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট থেকে টাকার চেক গুলো গ্রহন করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে কোন কাজ না করেই পকেটস্থ করে। গত ২৬ জুলাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা অলি আহমেদ রুমী চৌধুরী , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হুসাইন শওকত ,উপজেলা প্রকৗশলী মোঃ মনিরুজ্জামান প্রকল্পের কাজগুলো দেখার জন্য ইতিপূর্বে নির্বাচিত নওগাঁ জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান এর বালুভরা ইউনিয়নে যান। গিয়ে তারা হতবাক হয়ে যান।তাঁরা প্রস্তাবিত প্রকল্পের স্থান গুলোতে গিয়ে দেখেন ১০ি ট প্রকলেপর কোথাও ১ ইঞ্চি কাজও হয়নি এবং ১১নং প্রকল্পে আরচা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১,০০,০০০/= টাকার আসবাবপত্র সরবরাহের কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক জানান, বিগত অর্থবছরে একটি টাকার কোন জিনিসও তারা পান নাই। সংগে সংগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হুসাইন শওকত ঐ ইউ.পি. চেয়ারম্যান আল এমরান হোসেন কে মোবাইল করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। ২৮ জুলাই পুনরায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা অলি আহমেদ রুমী চৌধুরী , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হুসাইন শওকত,সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার সাদাত, উপজেলা প্রকৗশলী মোঃ মনিরুজ্জামান প্রকল্পের কাজগুলো দেখার জন্য বিলাশবাড়ী ইউনিয়নে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান ৪ টি প্রকল্পের আংশিক কাজ হয়েছে । অবশিষ্ট ১১টি প্রকল্পের কোন অস্তিস্তই নেই। ২৯ জুলাই উপজেলা পরিষদের মাসিক সম্বন্বয় সভায় ইউ.পি. চেয়ারম্যানগণ তোপের মুখে পড়তে পারেন এই আশংকায় কোন চেয়ারম্যানই সভায় উপস্থিত হন নাই।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হুসাইন শওকত এর সাথে কথা বললে তিনি জানান ,অবশিষ্ট ইউনিয়ন গুলো পরিদর্শন করে চেয়ারম্যানদের নোটিশ করা হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা অলি আহমেদ রুমী চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান,কোন প্রকল্পের কাজ না করেই ইউ.পি. চেয়ারম্যানগণ টাকা আত্মসাত করবেন এটা মেনে নেওয়া হবেনা ।যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রকৗশলী মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, কাজ শেষে আমার নিকট থেকে প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার পর চেক পাওয়ার কথা। কিন্তু কোন কাজ না হওয়ায় আমি কোন চেয়ারম্যানকেই প্রত্যয়ন দেই নাই। তারা কিভাবে কাজ নাকরেই চেক পেল এবং টাকা উত্তোলন করলেন তা আমার বোধগম্য নয়। ২ জন ইউ.পি. চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ,আমরা হয়তো কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করেছি, কিন্তুু অচিরেই কাজগুলো করবো। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে বদলগাছী উপজেলাতে তুলকামাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে
  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment